,

একক অভিনয়ে আবারও চমক নবীগঞ্জের মিন্টু’র

একক অভিনয় প্রতিযোগীতায় আবারও চমক দেখালেন নবীগঞ্জের ছেলে মিন্টু চন্দ্র চন্দ। তিনি নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এবার দেশ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। কালের কন্ঠের শুভ সংঘ কর্তৃক আয়োজিত “প্রতিভার খোঁজে” প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশী প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছিলো এই প্রতিযোগীতায়। মিন্টু অংশগ্রহণ করেছিলেন চরিত্র উপস্থাপন সিনিয়র বিভাগে। এই প্রতিযোগীতায় নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পুরস্কার অর্জনতো সব সময়ই আনন্দদায়ক হয়।তবে প্রথম হওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অন্যরকম। শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান ভাই যখন আমার নামটি ঘোষণা করেন, আমার চোখে পানি চলে আসে। পুরস্কার বিতরণীতে আমরা যখন পিএইচ ভবনে পৌঁছাই সেখানেও এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়, শুভ সংঘের বন্ধুদের আন্তরিকতা ছিল দেখার মতো। আমি খুব অবাক হয়েছি সেখানে পৌঁছে দেখি মোটামুটি অনেকেই আমাকে চেনেন, আমার অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন। উনাদের ভালোবাসায় আমি সত্যিই মুগ্ধ। যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আবেগাপ্লুত করেছে, আমি স্বয়ং ইমদাদুল হক মিলন স্যার, আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। পুরস্কার তো ছিলই, পাশাপাশি সবার ভালোবাসা পাওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া ছিলো। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার গুরু, আনন্দ নিকেতনের নৃত্য পরিচালক, শ্রদ্ধেয় প্রবীর শীল স্যারের প্রতি। এই প্রতিযোগীতায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি আমার পাশে ছিলেন। তিনি আমার পাশে না থাকলে হয়তো, আমি আজ এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না। ফাইনাল পর্বের ভিডিও নির্মাণের জন্য, চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে জাল বুনতে হয়েছিলো, আমি কখনো দেখিইনি কীভাবে জাল বুনে, কিন্তু তিনিই আমাকে তৎক্ষনাৎ জাল বুনা শিখিয়েছিলেন। প্রবীর শীল নামটি আমার কাছে একটি প্রতিভার নাম।’ “প্রতিভার খোঁজে” এই অ্যাওয়ার্ডটিও আমি উনাকেই উৎসর্গ করলাম। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আসাব আলী, তানজিলা রহমান এ্যামি এবং জয় ঘোষকে। সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ/দোয়া করবেন। আমি যেন অভিনয়েই থাকতে পারি।


     এই বিভাগের আরো খবর